বই-ফই

ঠিক করলাম,ব্লগেরও এবার থেকে চিঠির মতনই কপাল হবে।পোস্ট হবেনা।মানে হবে;তবে এইখানেই। বই লেখা নিয়ে যারা মাথা খারাপ করছে এই সিদ্ধান্ত তার মুখে ছাই গোছের উত্তর দেবে,এই আশা রাখি। তা বই লেখার কথা যখন উঠল,মানে এই যে এত সাহিত্য ফাহিত্য করা হয়,সেগুলো বই আকারে ছাপা উচিত,এসব যারা বলত,তাদের কথা যে একেবারে শুনিনি,তা নয়।তবে পুরোনো লেখা দিতে মন চায়নি।নতুন করে লিখতে বসেছিলাম। বসেই বুঝলাম,আমার সে ধক নেই।আমি হয়ত ভেবে যেতে পারি নিরন্তর।মাথার ভেতর অযুত-নিযুত ছবি গেঁথে গেঁথে হাজার কথা দেখতে পারি...লিখতে কী পারি?কী দিয়ে লিখব? গঙ্গায় অত আলো,জলের সাথে আদর করে কাঁপছে।অমন মরা রোদেও লাবণ্যে উজ্জ্বল...আমি কী দিয়ে লিখব সেসব? সেই আলো কদম গাছের পাতার শিরায়। রেল লাইনের লোহা,ঐ কুচ্ছিত মরা শক্ত লোহা,সেও সুন্দর লাগে।সে লেখায় জায়গা চায়,এত সুন্দর দেখতে লাগে, এসব কী ভাবে লেখা যায়? আজ একটা কথা মনে এলো,আলোচনাও করছিলাম প্রিয় সন্নিবেশে,পৃথিবীর অতীত যত বাড়ছে,সৌষ্ঠব তত কমছে।আমি শিল্পকে ছোট করছিনা,সে ক্ষমতা নেই আমার,পুঁটিমাছ।কিন্তু "সেই চোখ কোথায় তোমার?" প্রকৃতি এত সূক্ষ,এত নিরিবিরি কারুকাজ,অথচ কী সহজ! এর অনুকরণ ছিল,সে কী প্রকৃতির সাথে যোগ ছিল বলে? কী জানি?রোদ এই সব ভাবিয়ে তোলে।এই নিয়ে কী বই লেখা যায়? ধুশ...ছবি তোলা যায় খানিক।চায়ের ভাঁড়।রোজের জিনিস।তার গঠনে গোটা ভারতবর্ষ। মাথার পেছনে স্থাননাম "সুতানুটি";কাছারির হিসেবে ৩২৬ বছর...না জানি আরো কত কী...আর অসংখ্য সুতো,ধাগা,মালা,ঘট,তাবিজ,গুলি...শুধু ছবি থেকে গল্প।গল্প থেকে কাহিনী,কাহিনীর রহস্য,রহস্যের ইতিহাস।এত লেখা যায়? আমি কী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়? সে লোকের সাথে দেখা হয় বাবার,বাগবাজার বাজারে...আমার সাথে আজো দেখা নেই।ভয় হয়...কিসের ভয় ঠিক করে বলতে পারবনা,তবে দেখা হবার ভয় হয়। ইতিহাসের অতীতে কল্পনার ছাড় থাকে, টাইম মেশিনের অতীত কঠিন বাস্তব।তাই ভয় হয়।এত সব ভেবে রোজ বিভিন্ন গলি দিয়ে হাঁটাহাঁটি করি। বাড়ি ঘরের মধ্যেই কেমন গাছ গজিয়ে আছে এসব পাড়ায়।দেওয়ালে-ফেওয়ালে। কেমন লাগে যেন! খারাপ নয় ...মায়া। শ্যাওলায় মায়া আছে।উত্তরের বাড়ির দেওয়ালে হাত লাগলে ঠাম্মার গিঁটবাঁধা আঁচল মনে হয়।কী চেনা!
এতে বই হবেনা।যা হবে,তা দিয়ে কারোর কিছুই হবেনা।

Comments

Popular Posts